প্রতীকি ছবি
স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের চৌগাছার অবৈধ পশুহাটের কারনে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জমজমাট খালিশপুর পশুহাটটি আজ ধ্বংস হতে চলেছে। এদিকে অবৈধ পশুহাটের কারনে সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, মহেশপুরের এক সময়কার জমজমাট পশুহাটিতে এখন আর আগের মতো পশু আসেনা। শুক্রবার ও সোমবার একই দিনে মাত্র ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে যশোরের চৌগাছার অবৈধ পশুহাট ও মহেশপুরের খালিশপুর বৈধ পশু হাটটি বসে। আর এ কারনেই সরকারের ইজারা দেওয়া খালিশপুরের পশুহাটটি আজ একদিকে ধ্বংস হতে চলেছে অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমানের রাজস্ব।
পশুহাট ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, একটা পশুহাট সরকারের ইজারা বাদে কোন দিনই চলতে পারেনা। চৌগাছার পৌর মেয়র আর চৌগাছার প্রশাসন মিলে এ অবৈধ পশুহাটটি চালিয়ে আসছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে কিছুদিন বন্ধ ছিলো চৌগাছার অবৈধ পশুহাটটি। কিন্তু প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের চোখ ফাকি দিয়ে আবারও শুরু করা হয়েছে অবৈধ পশুহাটটি। তিনি আরো জানান, অবৈধ পশুহাটের কারনে বৈধ পশুহাটটি আজ ধ্বংশের দ্বার প্রান্তে এসে পৌছেছে।
খালিশপুর পশুহাটের ইজারাদার (ডাক নেওয়া হাট মালিক) খালিশপুরের তৈয়ব আলী টোটোন জানান, ২০২২ সালের ৩ ফের্রুয়ারী ৫৮ লাখ ৬০ হাজার টাকায় সরকারের কাছ থেকে খালিশপুরের পশুহাটটি ইজারা নেওয়া হয়। যা সরকারের ভ্যাট-আয়কর দিয়ে ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় পৌছেছে। কিন্তু পাশর্^বর্তী চৌগাছার অবৈধ পশুহাটের কারনে আমার সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া বৈধ পশু হাটটি আজ ধ্বংস হতে চলেছে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, চৌগাছার অবৈধ পশুহাটটি বন্ধের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। শুধু তাইনা উপজেলা পরিষদের মিটিংএর রেজুলেশন কপিও পাঠানো হয়েছে।
মহেশপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ জানান, আমরা চৌগাছার অবৈধ পশুহাটের কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অবৈধ হাটের সরকারের ইজারা দেওয়া সরকারের লাভ জনক খালিশপুরের পশুহাটটিতে এখন আর আগের মতো পশু ওঠেনা। যার কারনেই সরকার বিপুর পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছে ঐ অবৈধ পশু হাটের কারনে।
Leave a Reply